রবিবার, ৬ মে, ২০১২

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিকল্প গণমাধ্যম


                                                                আবদুল মান্নান

বাংলাদেশের যাঁরা বর্তমানে রাজনীতি করেন তাঁদের অনেকেই ভুলে যান যে তাঁরা একবিংশ শতকে রাজনীতি করছেন এবং সেই রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নির্ধারণে গণমাধ্যম একটি বিরাট ভূমিকা পালন করে। আবার গণমাধ্যম বলতে শুধু সংবাদপত্র, রেডিও বা টিভির মধ্যে সীমাবদ্ধ, তা কিন্তু নয়; বর্তমানে বিকল্প গণমাধ্যম (Alternative Media) নামে অত্যন্ত শক্তিশালী একটি গণমাধ্যমের আবির্ভাব হয়েছে, যা সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম নয়। এই বিকল্প গণমাধ্যমের ব্যাপ্তি সাধারণ গণমাধ্যমের চাইতে অনেক বেশি এবং কোন কোন ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে তার প্রভাব বিশ্বব্যাপী পৌঁছানোর ক্ষমতা অনেক ব্যাপক। দু’টি উদাহরণ দিলে বোঝা যাবে। বছর দুই আগে আমার সুযোগ হয়েছিল অনলাইন রেডিওর একটি টকশোতে অংশগ্রহণ করতে। এর আগে জানা ছিল না অনলাইন রেডিও জিনিসটা কি। গিয়ে দেখি রেডিও স্টুডিওটার আয়তন একটি মাঝারি সাইজের বাথরুমের মতো। দু’টি কম্পিউটার আর দু’টি চেয়ার। একটিতে রেডিও জকি (সঞ্চালক) বসেন অন্যটিতে অংশগ্রহণকারী। এটি ছিল আমাদের বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠান। কথার ফাঁকে ফাঁকে গান। তখন বেলা সাড়ে বারোটা। আমি দু’টি বাক্য বলতেই প্রথম মেলটি এলো সুদূর ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকি হতে। ওদিক হতে একজন শ্রোতা জানাল, অনেকদিন পর সে আমার কণ্ঠস্বর শুনতে পেয়ে বেশ আনন্দিত। এরপর একটি গান। অবাক করে পরের মেলটি মিসরের রাজধানী কায়রো হতে। এমন রেডিও যে কেউ তার বাড়ি বা অফিসে বসে খুলতে পারে। খোলার সহজ উপায়ও গুগল সার্চ ইঞ্জিনে পাওয়া যাবে।
পরের ঘটনা গত ১ মের। এদিন ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহান মে দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বক্তব্য রাখছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান। সাধারণত তাঁকে কোন সভায় বক্তৃতা দিতে তেমন একটা দেখা যায় না। অনেকটা নিভৃতচারী। তাঁর বক্তৃতার এক পর্যায়ে তিনি বিএনপির নিখোঁজ হওয়া নেতা ইলিয়াস আলী সম্পর্কে বলতে গিয়ে তাঁর স্ত্রীকে ‘বিধবা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন ইলিয়াস আলীর খুনী কে তা যেন তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানান। তিনি তাঁর বক্তব্য দেয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশ এবং বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যায়। কারণ এখন প্রায় সকল মোবাইল ফোনেই ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া থাকে। ঘটনা শুধু এখানেই থেমে থাকেনি। রাতের খবরে মুন্নুজান সুফিয়ানের এই বক্তব্য কয়েকটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলে বিস্তারিত দেখাল এবং মুহূর্তের মধ্যে তা ইউটিউবে আপলোড হয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে সবখানে ছড়িয়ে গেল। আমি সংবাদ দেখার আগেই আমার বন্ধু শহীদ যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেস হতে ফোন করে আমাকে অনেকটা ধমক দিয়ে ক্ষোভের সঙ্গে বলল, কী বলে তোমাদের এসব মন্ত্রী? আমি তো অনেকটা লা-জওয়াব। শহীদ একাত্তরের একজন অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা এবং বঙ্গবন্ধুর একজন বড় মাপের ভক্ত। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে এগুলো হচ্ছে বিকল্প গণমাধ্যমের নমুনা। আমাদের বেশিরভাগ রাজনীতিবিদ আধুনিক বিজ্ঞানের এই দিকগুলো বুঝতে অক্ষম। কারণ তাঁরা এখনও প্রস্তর যুগে বাস করেন আবার এদের অনেকেই বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় অথবা দলীয় নেতৃত্বে আছেন। আমি এক শ’ ভাগ বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী একজন ডিজিটাল যুগের মানুষ এবং তাঁর ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় একজন প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, কিন্তু তাঁর চারপাশে এসব প্রস্তরযুগের এনালগ মানুষ নিয়ে তিনি কিভাবে কাজ করবেন? প্রধানমন্ত্রীর সভাপারিষদ বা পরামর্শদাতার কেউ কেউ তাঁকে পরামর্শ দিতে পারেন, বন্ধ করে দিন এসব ঝামেলা । তাদের বলি তা করা খুব সহজ নয় । প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে একবার ফেসবুকে কি এক ব্যঙ্গচিত্র প্রচারিত হয়েছিল। কারা বুদ্ধি দিল বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ থাকবে । তাতে কি কোন কাজ হয়েছিল? না, হয়নি । কারণ নিমিষেই যাদের এই ব্যাপারে আগ্রহ আছে তারা বিকল্প পথে তা আবার চালু করেছিল ।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক তাঁর ফেসবুকে একটি কার্টুন প্রচার করেছে । মমতার হুকুম গ্রেফতার কর সেই বেয়াড়া অধ্যাপককে। জো হুকুম বলে পুলিশ সেই অধ্যাপকের হাতে হাতকড়া পড়াল । তাতে লাভ হলো এটাই এখন মমতাকে নিয়ে ফেসবুকে অসংখ্য কার্টুন; যার অধিকাংশের উৎপত্তি হয়ত ভারতবর্ষের বাইরে। ইদানীং ফেসবুকে ইলিয়াস আলীর অন্তর্ধান নিয়ে একটি মজার সিনেমার পোস্টারের আদলে ফটোসপে করা একটি স্থিরচিত্র প্রচারিত হচ্ছে। পোস্টারটির বামপাশে আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গায়ে কালো কাপড়। হাতে একটি আধুনিক পিস্তল। অনেকটা সঞ্জয় দত্ত স্টাইলে। ডানপাশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব স্যুটপরা মির্জা ফখরুল। তিনি নিজের টাই ঠিক করছেন। নিচে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুুবুল আলম হানিফ। ছবির নাম ‘খোঁজ’ ইংরজী নাম ঞযব ঝবধৎপয. নিচে লেখা সকল টিভি চ্যানেলে চলিতেছে। এই পোস্টার নিয়ে অসংখ্য মন্তব্য। কিভাবে ঠেকাবেন এসব বিকল্প গণমাধ্যম ? বা তা ঠেকানোর কোন প্রয়োজন আছে কি ? একটি গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় গণমাধ্যমকে বলা হয় গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। ওটির ওপর অযাচিতভাবে হাত দেয়ার অর্থ গণতন্ত্রের ওপর হাত দেয়া । পাঠক, ঠিক করবে কোন্টি বস্তুনিষ্ঠ আর কোন্টি নয়। আমি খুব কম জামায়াত সমর্থককে দেখেছি দৈনিক সংগ্রাম পড়তে অথবা বিএনপিপন্থীদের দেখেছি দৈনিক দিনকাল কিনতে। কোন পত্রিকা বা গণমাধ্যম গুজবের জন্ম দিলে বা অসত্য তথ্য প্রকাশ করলে তাকে শাস্তি দেয়ার জন্য দেশে অনেক আইন আছে। বন্ধ করে দেয়া কোন সমাধান নয়।
ইদানীং বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় শ্রীলঙ্কা গার্ডিয়ান নামক একটি পত্রিকা নিয়ে হৈচৈ হচ্ছে। তার কারণ এই পত্রিকায় বাংলাদেশ, বর্তমান সরকার, সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং সরকারের শীর্ষ পদে থাকা কিছু নেতানেত্রীকে নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে; যার প্রায় সবটুকুই কল্পকাহিনী। এ নিয়ে আবার আমাদের দেশের কোন কোন সংবাদপত্র শ্রীলঙ্কায় আমাদের দূতাবাসের বরাত দিয়ে জানানোর চেষ্টা করেছেÑওই নামে শ্রীলঙ্কা হতে কোন সংবাদপত্র প্রকাশিত হয় কি-না । খোঁজ নিয়ে তারাও বলেছে, না, হয় না। আমাদের কোন কোন বিদগ্ধ বুদ্ধিজীবী এ নিয়ে আবার পত্রপত্রিকায় দু’একটি কলামও লিখে ফেলেছেন। নিয়মিত এই পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ কোন কোন বেসরকারী টিভি চ্যানেলের মধ্যরাতের টকশোর আলোচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে। বিদগ্ধ কলাম লেখক এবং সমাজবিজ্ঞানী বদরুদ্দীন উমরের মতো একজন প-িত ব্যক্তিও এই পত্রিকায় বাংলাদেশের রাজনীতির ওপর প্রকাশিত মন্তব্য নিয়ে ২৯ এপ্রিলের দৈনিক যুগান্তরে একটি কলাম লিখে ফেললেন এবং সরকারের কাছে দাবি করেনÑ সেই পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টের ওপর সরকারকে ব্যাখ্যা দিতে হবে। জানি, আমার মতো একজন অধম বদরুদ্দীন উমরের মতো একজন উত্তম প-িত ব্যক্তির লেখা নিয়ে মন্তব্য করলে কোন কোন পাঠক আমাকে হয় একজন বড় মাপের মূর্খ ভাববেন অথবা মনে করবেন একজন চরম বেয়াদব। তারপরও সকলের জ্ঞাতার্থে বলতে হয়Ñএই পত্রিকাটা আছে, তবে তা কোন কাগজে ছাপা পত্রিকা নয়; ওটি ওয়েবপোর্টালে প্রকাশিত পত্রিকা এবং তা খুব সহজেই বিশ্বের যে কোন প্রান্ত হতে প্রকাশ করা যায় এবং তার জন্য কোন সরকারী অনুমোদন নিতে হয় না। ইচ্ছা করলে আমি বা জনাব বদরুদ্দীন উমর যে কেউ এমন একটা পত্রিকা এই ঢাকায় বসে প্রকাশ করতে পারি এবং তাতে সরকারের বিরুদ্ধে মনের মাধুরী মিশিয়ে যা ইচ্ছা তা লিখতে পারি। এবং এই কাজগুলো করতে পারি অত্যন্ত গোপনে, এমনকি পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন অরণ্যে বসেও। এগুলো হচ্ছে বিকল্প গণমাধ্যম। ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারলে অন্যকে ঘায়েল করতে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী অস্ত্র। গত দু’দিন ধরে শ্রীলঙ্কা গার্ডিয়ান পত্রিকাটি বাংলাদেশে অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে না। তা বলে কি উৎসাহী পাঠক সে পত্রিকা পড়া বন্ধ রেখেছেন? মোটেও না। বিদেশ হতে অসংখ্য ব্লগার তাদের ব্লগে বাংলাদেশ বিষয়ক ফিচারগুলো তাদের ব্লগে আপলোড করে দিচ্ছেন। এটি সঠিক অর্থে বন্ধ করতে হলে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি কম্পিউটার বঙ্গোপসাগরে ফেলে আসতে হবে।
এবার আসি বেসরকারী কোন কোন মধ্যরাতের টকশোতে এই ধরনের বিকল্প গণমাধ্যম নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে। একটি কথা না বললেই নয়। এটি বললে হয়ত কেউ কেউ মনোক্ষুণœ বা আমার ওপর বিরক্ত হতে পারেন। বাংলাদেশের অধিকাংশ গণমাধ্যম, সেটি প্রিন্ট মিডিয়া হোক বা ইলেকট্রনিক মিডিয়াÑ সব সময় আওয়ামী লীগ বিরোধী কিছু প্রচার করতে পারলে এক ধরনের আনন্দ অনুভব করে। প্রত্যেক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কিছু নতুন পত্রিকা বা টিভি চ্যানেলের অনুমোদন দেয়া হয়। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এগুলোর অধিকাংশই হাত বদল হয়ে আওয়ামী লীগবিরোধী ভাবাপন্ন কারও হাতে চলে যায় এবং তা আওয়ামী লীগকে ঘায়েল করার জন্য যথেচ্ছভাবে তারা তা ব্যবহার করে এবং তাদের এই ধরনের অনুষ্ঠানে অনেক ক্ষেত্রেই বস্তুনিষ্ঠতার প্রচ- অভাব থাকে। আবার মধ্যরাতের টকশোগুলোতে দেখা যায় প্রায়শ যে সকল ব্যক্তিকে সরকার বা সরকারী দলের পক্ষে কথা বলার জন্য আনা হয় তাদের অধিকাংশই এত মধ্যমেধার ব্যক্তি হন যে, মাঝে মাঝে মনে হয় তাদের পেটে বোমা মারলেও একটা কথা বের হবে না। ক’দিন আগে একটি টিভি চ্যানেলে আলোচনায় শ্রীলঙ্কা গার্ডিয়ান প্রসঙ্গ আনলেন বিএনপির এক নেতা। অন্যদিকে ছিলেন আওয়ামী লীগদলীয় একজন মোটামুটি শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। সেই নেতা শুধু আমতা আমতাই করলেন। দর্শকদের আশ^স্ত করতে কিছুই বলতে পারলেন না। সরকারী কলেজের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের একজন অধ্যাপককে ডাকা হয়েছিল বিটিভির একটি টকশোতে। আলোচনায় এসে গেল হিলারি ক্লিনটনের বাংলাদেশে সফর প্রসঙ্গে। সেই অধ্যাপক বললেন, এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাজার হোক হিলারি ক্লিনটন তিন তিনবার যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্টলেডি ছিলেন! সেই অধ্যাপক জানেন না, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ২২তম সংশোধনী (১৯৪৭ সালে গৃহীত) অনুযায়ী কারও পক্ষে তিনবার প্রেসিডেন্ট হওয়া যেমন সম্ভব নয় তেমনিভাবে কেউ তিনবার ফার্স্টলেডিও হতে পারেন না। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে একমাত্র ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট তিনবার প্রেসিডেন্টের পূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। চতুর্থবারের মাঝপথেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।
বর্তমানে বাংলাদেশে যত রকমের বিকল্প মিডিয়া আছে তার প্রায় সবই ব্যবহৃত হচ্ছে মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে দেশে এবং দেশের বাইরে জনমত সৃষ্টি করার জন্য এবং এর জন্য জামায়াত কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে। একজন সাবেক আমলা যিনি আওয়ামী লীগের প্রথম সরকারের আমলে (১৯৯৬-২০০১) গুরুত্বপূর্ণ পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন যাঁর বয়স বর্তমানে সত্তরোর্ধ, তিনি এই কাজে যে পরিমাণের সময় ব্যয় করেন তা না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। বিকল্প গণমাধ্যম একটি বাস্তব সত্য এবং এটি বন্ধ করা সম্ভব নয়। যোগ্য লোক দিয়ে এটির ব্যবহারের কোন বিকল্প সরকারের কাছে নেই। শুধু ডিজিটাল ডিজিটাল বললেই বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়ে যাবে না। তা করতে হলে যোগ্য লোকের হাতেই অনেক দায়িত্ব সরকারকে ছেড়ে দিতে হবে। আর তা যদি সরকার দ্রুত করতে না পারে তা হলে সরকারের অনেক অর্জন ভেস্তে যাবে।
মুন্নুজান সুফিয়ান একজন অত্যন্ত সৎ এবং ত্যাগী আওয়ামী লীগ কর্মী তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে তিনি মন্ত্রিসভায় না থাকলে কি সরকারের কোন ক্ষতিবৃদ্ধি হবে? একজন নয়, বর্তমান মন্ত্রিসভায় মুন্নুজান সুফিয়ান আরও আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে ছাড়া মনে হচ্ছে বাংলাদেশের কোন সমস্যাই সমাধান হচ্ছে না। দেখবেন নাকি একবার আপনার মন্ত্রিসভার দিকে তাকিয়ে? আমার মন্তব্যে মনোক্ষুণœ হতে পারেন। কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি, আমরা আবার বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনের আমলে ফিরে যেতে চাই না। আবার দেখতে চাই না আমিনী-সাঈদীদের তা-ব।

লেখক : শিক্ষাবিদ ও বিশ্লেষক। ৪ মে , ২০১২

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন