শনিবার, ৯ জুন, ২০১২

মধ্যরাতের টকশো সংস্কৃতি আর ‘চারিদিকে অন্ধকার’-এর রাজনীতি

বাংলাদেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেলের মাঝরাতের টকশোগুলো ইদানীং বেশ আলোচিত সমালোচিত হচ্ছে নানা কারণে। দেশে দেশে আড্ডার ছলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে টিভি টকশো বেশ জনপ্রিয়। আর যেহেতু রাজনীতি বাঙালীর অতি প্রিয় একটি বিষয় সেহেতু টিভির কোন টকশোতে বিষয় যদি হয় রাজনীতি তাহলে তার প্রতি সাধারণ দর্শক-শ্রোতার আগ্রহ বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। আসলে এটি এই উপমহাদেশের সাধারণ মানুষের বৈশিষ্ট্য বলা যেতে পারে। অন্য দেশেও টিভি টকশো একশ্রেণীর দর্শক-শ্রোতার কাছে বেশ জনপ্রিয় তবে সেগুলো সব সময় রাজনীতি প্রধান থাকে না। এককালে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় জনি কার্সন অথবা ল্যারি কিং শো দারুণ জনপ্রিয় ছিল। তবে দেখেছি সাধারণত সে দেশের নির্বাচন অথবা কোন জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছাড়া তাদের টকশোতে রাজনীতি সবসময় গুরুত্ব পেত না।
বাংলাদেশের প্রায় সকল বেসরকারি টিভি চ্যানেলেই ইদানীং দেখা যায় টিভি টকশোগুলোর প্রধান উপজীব্যই হচ্ছে সরকারের প্রয়োজনে অপ্রোয়জনে সমালোচনা করা। বাংলাদেশের এই টকশো সংস্কৃতি এক ধরনের সবজান্তা বিশেষজ্ঞ সৃষ্টিতে সহায়ক হয়েছে যারা দুনিয়ার এমন কোন বিষয় নেই যা নিয়ে কথা বলেন না। কৃমিনাশে কাল ছাগলের দুধের উপকারিতা হতে শুরু করে মহাশূন্যে বাঙালীর সম্ভাব্য অভিযান। দু’একজন আছেন যারা আলোচিত বিষয়ের সঙ্গে কোন সম্পর্ক না থাকলেও সেখানে সরকার ও আওয়ামী লীগকে টেনে আনবেনই। এদের বেশিরভাগই মোটামুটি ধরে নিয়েছেন আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসছে এবং তাদের কাজ হচ্ছে এই আসাকে ত্বরান্বিত করা। একজন বিজ্ঞ অধ্যাপক বিশেষজ্ঞ তো সে দিন একটি চ্যানেলে বলেই ফেললেন সামনের নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ ফের ক্ষমতায় আসে তাহলে তারা আরও ফ্যাসিস্ট আচরণ করবে। আর একজন বিশেষজ্ঞ অকপটে বললেন বাংলাদেশ গত চল্লিশ বছরে যা অর্জন করেছে তাতে রাজনৈতিক দলগুলোর কোন অবদান নেই। এই অর্জন আপনা-আপনিই হতো। শুধু বলতে বাকি রেখেছেন রাজনৈতিক দল বা কোন সরকার না থাকলে দেশ আরও অনেকদূর এগিয়ে যেত। সম্ভবত এরা বাংলাদেশকে সোমালিয়া বা ইথিওপিয়া হিসেবে দেখতে চায়। আবার অনেক প-িতের কিছু ক্লাবও আছে যাদেরকে বলা হয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। দেশের নানা বিষয় নিয়ে তারা সর্বক্ষণ চিন্তা করে রাতের ঘুম হারাম করেন। এটি নিসন্দেহে একটা ভাল উদ্যোগ। তবে সমস্যা হচ্ছে এই প-িতজনেরা প্রায় কেউই বাংলাদেশের কোন ভবিষ্যৎ দেখেন না। তাদের জন্য চারদিকে শুধু অন্ধকার। যখন পশ্চিমা দুনিয়া অর্থনৈতিক মন্দা, যুক্তরাষ্ট্রে আর ইউরোপে কয়েক লাখ মানুষ বেকার এবং দেনার দায়ে হাজার হাজার মানুষ গৃহহারা, মুদ্রস্ফীতি যখন প্রায় দু’অঙ্কের ঘরে তখনও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সীমিত হলেও গতি ছিল। নতুন করে বেকারত্ব বাড়েনি অথবা ওই সব দেশের মতো রাতারাতি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক বীমা কোম্পানি, কলকারখানা বন্ধ হয়নি। তখন একরাতে এই প-িতজনদের একজন এক টিভি টকশোতে বেশ জোর গলায় বললেন, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার ঢেউ না লাগলেও আগামীতে লাগবে এবং যেহেতু তা দেরিতে লাগবে তার প্রস্থানও দেরিতে ঘটবে। যখন তা ঘটল না তখন এদেরই একজন বললেন, আসলে এবার কৃষিতে ফলন ভাল হয়েছে তো সে জন্য অর্থনীতিতে চাপটা বড় করে লাগেনি। তারপরও এঁরা বাংলাদেশের কোন একটি সাফল্যের জন্য সরকারকে কোন ধরনের কৃতিত্ব দিতে নারাজ। আর একজন ভূতপূর্ব আওয়ামী লীগারের কথা বলি। সেটি চারদলীয় জোট সরকারের সময়। ভারত অভিযোগ করেছে তাদের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহে অনেক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন তাদের বাংলাদেশী ঘাঁটি হতে ভারতে অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা চালায়। সে বিজ্ঞজন বললেন, এটি ভারতের একটি কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার। বাংলাদেশের মতো এত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কিভাবে অন্য দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ঘাঁটি গাড়তে পারে? 
আসলে বাংলাদেশের সার্বিক আর্থ-সামাজিক অবস্থা কি ঠিক যেমনটি টিভি টকশো বা এক ধরনের গণমাধ্যমে প্রচার করা হয় তত খারাপ? শুধু অর্থনৈতিক অবস্থাটা দেখা যাক। ৭ জুন অর্থমন্ত্রী বর্তমান সরকারের পূর্ণাঙ্গ বাজেট সংসদে উপস্থাপন করেছেন। বাজেট আগামী অর্থ বছরের একটি আর্থিক কর্ম পরিকল্পনা। বিশ্বের কম দেশই আছে যেখানে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়। এর প্রধান কারণ কোন একটি দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যত কারও একক নিয়ন্ত্রণে থাকে না। আর এই বিশ্বায়নের যুগে প্রত্যেকটি দেশেই একে অন্যের ওপর তার অর্থনৈতিক কর্মকা-ের অগ্রগতির জন্য নির্ভরশীল। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপের মতো ভোগবাদী দেশসমূহে যদি অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয় তার ধাক্কা অন্য দেশের ওপর কম-বেশি লাগবেই। তার মাত্রার তারতম্য হতে পারে। তবে কোন দেশ তার অর্থনীতিকে যদি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারে তাহলে সেই ঢেউয়ের ধাক্কাটা কম লাগার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কিছুদিন আগে জাতিসংঘের মহাসচিবের বিশেষ দূত ড. রব ভস বিশ্ব অর্থনীতির বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে গিয়ে বলেছেন, ইউরোপ আর উত্তর আমেরিকার দেশগুলোকে আগামীতেও অর্থনৈতিক মন্দার ধকল সইতে হবে তাদের বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ২%-এর উপরে উঠবে না। ভারত তার প্রবৃদ্ধির হার ৯% থেকে কোনভাবে ৬.৯%-এ ধরে রাখতে পেরেছে। আর পাকিস্তানে এই প্রবৃদ্ধি গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ, যা ৩.৯% দাঁড়িয়েছে। সেখান বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬.৩% এবং যা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোও স্বীকার করেছে। অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, এই হিসেবে তিনটি বিষয় যথাÑবাম্পার বোরো ফলন, এপ্রিল মাস থেকে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি ও বিদ্যুত উৎপাদনের অর্জন প্রাধান্য পায়নি। অর্থবছরের শেষ মাসের এই বিষয় বিবেচনায় নিলে এই বছরের প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের কাছাকাছি অর্জিত হবে। কদাচিৎ কোন টিভি টকশোতে বাংলাদেশের এই সব অর্জনকে তুলে ধরা হয়। হলেও বলা হয় এই অর্জনে সরকারের কোন কৃতিত্ব নেই। এই অর্জনের জন্য কোন কৃতিত্ব দিতে হলে দিতে হবে আমাদের কৃষককে এবং বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের। এটি একটি অদ্ভুত যুক্তি। কৃষিতে যদি সরকার উন্নতমানের বীজ, কমদামে সার, সেচের জন্য বিদ্যুত (তার জন্য আমরা শহরের মানুষ দারুণ কষ্ট পেয়েছি সত্য) না সরবরাহ করলে কি কৃষিতে এই অভাবনীয় সাফল্য আসত ? মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কোরিয়া প্রভৃতি দেশে বাংলাদেশ থেকে যে শ্রমিক যাচ্ছে তাতে কি সরকারের কোন ভূমিকা নেই ? আমাদের শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রণালয় কি সারা বছর ধরে ভেরে-া ভাজে? বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলে উগ্র ধর্মান্ধ জঙ্গীবাদ দমনে একটি মডেল হিসেবে পরিচিত হয়েছে। এর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিতও হয়েছেন। এই সব বিষয় সম্পর্কে এই টকশোগুলোতে খুব কমই চর্চা হয়। 
তবে একটা কথা বলতেই হবে। বর্তমান সরকারের পক্ষে গত সাড়ে তিন বছরে যা অর্জন করা সম্ভব ছিল একটু সচেতন হলে আরও বেশি কিছু অর্জন করা যেত। একটি খাত এই সম্ভাবনাকে পিছন থেকে শক্ত করে ধরে রেখেছে আর তা হচ্ছে আমাদের বিদ্যুত ও জ্বালানি খাত। বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশে এই খাতকে সব সময় অন্য সব কিছুর ওপর অগ্রাধিকার দিতে হবে, কারণ বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতই হচ্ছে যে কোন দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি। সেদিন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় আমার এক প্রাক্তন ছাত্রের সঙ্গে দেখা। সে আক্ষেপ করে জানাল তার একটি নতুন ভোজ্যতেল শোধনাগার, কাগজ কল, লবণ শোধনাগার, পানি বোতলজাত কারখানায় কয়েক শত কোটি টাকা বিনিয়াগের পরও বিদ্যুত সংযোগের অভাবে ঠিক মতো চালু করতে পারছে না। এ রকম উদাহরণ অসংখ্য। এই পরিস্থিতি হতে কিছুটা পরিত্রাণ পেলেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৭%-এর ওপরে যাওয়া অসম্ভব ছিল না। তারপর আছে যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন। এই দুটি খাতকে যতটুকু যতœ দিয়ে পরিচর্যা করার কথা ছিল তা করা হয়নি। গতবারের মতো এবারও বাজেটে বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতে বেশ বড় (৫%) বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে বর্তমানে এই গুরুত্বপূর্ণ খাতটি যাদের তত্ত্বাবধানে আছে তাদের দিয়ে মানুষ তেমন ভাল কিছু আশা করে না। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং (অর্থনৈতিক সক্ষমতা) প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এ্যান্ড পুওর এর ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। দক্ষিণ এশিয়া ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। গত ৬ এপ্রিল বিশ্বের ১২৪ দেশের ওপর করা এই আন্তর্জাতিক সভরেন রেটিং প্রকাশ করা হয়। এই সব বিষয় কখনও মধ্যরাতে প-িতরা তুলে ধরেন না। 
যারা ‘ফ্যাসিস্ট’ আওয়ামী লীগকে আগামীতে আর ক্ষমতায় দেখতে চান না তারা কি চান? বলাবাহুল্য তারা পুনরায় চারদলীয় জামায়াত-বিএনপি জোটকে ক্ষমতায় দেখতে চান। তারা সম্ভবত গোলাম আযম বা মতিউর রহমান নিজামীকে বঙ্গভবনে দেখতে চান। তারা বাংলাদেশকে উগ্র মৌলবাদী উন্মাদ জঙ্গীদের অভয়ারণ্য হিসেবে দেখতে চান। তারা বাংলাদেশকে অবৈধ অস্ত্রের ট্রানজিট রুট হিসেবে দেখতে চান, তারা প্রধানমন্ত্রীর পুত্রদয়ের রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটের সংস্কৃতির প্রত্যাবর্তন চান, তারা নতুন হাওয়া ভবনের প্রতিষ্ঠা চান, সর্বোপরি তারা বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান। তারা আরেকটি এক-এগারো দেখতে চান। এই দেখতে চাওয়ার কারণ হচ্ছে তাদের অনেকেই তখন এই সব অপকর্মের পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষ অংশীদার বা সুবিধাভোগী হতে পারবেন। তাই বলে কি বর্তমান সরকারের সব কাজ ভাল হচ্ছে তার সনদ দিতে হবে ? মোটেও না। সার্বিক বিচারে বলা যায় বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোটেও সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। ইদানীং সরকারের কিছু লোক কথায় কথায় সব জায়গায় রাষ্ট্রদ্রোহী খোঁজেন। অনেকের বিশ্বাস দেশে যদি একজন রাষ্ট্রদ্রোহীও থাকে তাহলে তা বিদ্যুত বিভাগে। তা যদি না হবে তা হলে এই সময়ে রাত বারটার পরও কেন ঢাকা শহরে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুত বন্ধ হয়? এই লেখাটি বৃহস্পতিবার লিখছি। এদিন সকাল হতে রাত দশটা অবধি ধানম-ির মতো এলাকয় কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা বিদ্যুত বন্ধ ছিল। এটি নিত্যদিনের ঘটনা। শুক্রবারও তেমন কোন ব্যতিক্রম দেখা যায় না। আগামী দেড় বছরে শেখ হাসিনাকে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। তবে এই পাড়ি দেয়াটা তার জন্য মোটেও কুসুমাস্তীর্ণ নয়। পাড়ি দিতে হলে তার সঙ্গী-সাথীদের কতজন তার এই দুর্গম পথের সহযাত্রী হবে তা তাকে এখনই ভেবে দেখতে হবে। 
সবশেষে একটি অপ্রিয় কথা না বললেই নয়। বেশ কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে সরকারের কোন কোন সিদ্ধান্ত অথবা নেতাত্রেীদের বক্তব্য বিবৃতির কারণে সরকারের অনেক মিত্র বা শুভাকাক্সক্ষীও সরকারের প্রতিপক্ষ হয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর একটা বড় গুণ ছিল তিনি তার পরম শত্রুকেও আপন করে নিতে পারতেন। পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগের কোন নেতা-নেত্রীর কাছে এই মহৎ গুণটি দেখা যায়নি। বন্ধু বৃদ্ধির পরিবর্তে শত্রুর চাষ বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে। সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর অনেক শুভাকাক্সক্ষীদের ধারণা, সরকার এবং তাঁকে ব্যর্থ প্রমাণ করার জন্য একটি বড় সিন্ডিকেট বর্তমানে বেশ সক্রিয়। এদের অনেকেই বর্ণচোরা। আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি একটু খেয়াল রাখবেন। 

জুন ৮, ২০১২
লেখক : শিক্ষাবিদ ও বিশ্লেষক

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন